ডলার-সংকটের কারণে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ১০০ কোটি ডলারের বেশি বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান না থাকায় বকেয়া পরিশোধের নানামুখী প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও নথির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
অর্থনীতির নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স আয়ের ঊর্ধ্বমুখী পালে ধস নেমেছে। সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে জুলাই শেষে দেশের গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাবে ২০ দশ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এ
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের মে ও জুন মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে বিপিএম-৬ হিসাবে ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা চলতি জুলাই মাসের শুরুতে ছিল ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপ
অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট কাটানো, চীনা বিনিয়োগ ও দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো—এই চার লক্ষ্য সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ জুলাই বেইজিং যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে চীনের কৌশলগত বৈরিতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থা
রিজার্ভের পতন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আওতাধীন দেশগুলোর আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভে বড় ধাক্কা লেগেছে।
রিজার্ভ সংরক্ষণে আইএমএফের শর্ত পূরণ হচ্ছে না। বরং এখন রিজার্ভ আরও ঝুঁকিপূর্ণ স্তরে নামছে। তিন মাসের আমদানি দায় শোধের জন্য যে মজুত থাকার কথা, তার চেয়েও কম বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে রিজার্ভে। এদিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে এখন সংস্থার একটি মিশন বৈঠক শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে। তারা দেখ
ধারাবাহিক পতনের মধ্য দিয়ে আবারও ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বিপিএম-৬ অনুযায়ী গতকাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৯ বিলিয়ন ডলারে। একই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৫.৩০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে মোট রিজার্ভ ছিল ৩১.১৮ বিলিয়ন। গতকাল বৃহস্পত
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমা ঠেকাতে পণ্য আমদানির ওপর কড়াকড়ি চলতে থাকবে। মূল্যস্ফীতিও বাড়তে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এক পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংক এসব কথা বলেছে।
এক ডলার-সংকটেই দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য, কলকারখানায় উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং কর্মসংস্থানে শ্লথগতি দেখা দিয়েছে। ডলারের মজুত বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাগাতার পদক্ষেপেও কাজ হচ্ছে না। উল্টো কমছে রিজার্ভ। গত কয়েক মাসে
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন এই দিন ধার্য করেন।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফের কমেছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের আমদানি দায় বাবদ আকুকে ১২৮ কোটি ডলার (১.২৮ বিলিয়ন) দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গতকাল মঙ্গলবার আকুর এ দায় সমন্বয় করা হয়েছে
বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এই ঋণের অর্থ আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের হিসাবে যোগ হবে। এর ফলে এই মাসে সব মিলে মোট ১.৩১ বিলিয়ন বা ১৩১ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে নীতি সুদহার বা রেপো রেট একবারেই দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে নীতি সুদহার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ হচ্ছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় রেপো রেট বাড়ানোর এই সিদ্ধা
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। গতকাল শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমেছে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ৫৯৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলি
রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমছে। আবার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও চলছে মন্দা। ডলার আসার প্রধান দুই উৎস ঝুঁকিতে। এর মধ্যেই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় সুদসহ ১১০ থেকে ১২০ কোটি ডলার শোধ করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে শিগগির রিজার্ভ আরও কমে ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে